নিচে ২০২৫ সালের শেষের দিকে UIDAI (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) কর্তৃক Aadhaar card-র জন্য নেওয়া নতুন নিয়ম এবং আপডেট-গুলোর বিষয় একটি সংক্ষিপ্ত, সুন্দর আর্টিকেল — যা পাচ্ছেন আপনার হিসেবেই 👇
---
আধারে নতুন পরিবর্তন — কেন বদলাচ্ছে এবং কী বদলেছে
ভারতের আধার কার্ড পেয়েছেতো — কিন্তু এখন থেকে আধার সংশোধন করা এবং নিজের তথ্য আপডেট করা হবে পুরনো মতো দিকরেখা বা কন্টারে গিয়ে নয়, সোজা অনলাইনে। ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
✨ নতুন ফিচার ও সুবিধা
এখন থেকে আপনি — আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর (এবং কোথাও প্রযোজ্য হলে — জন্ম তারিখ বা অন্যান্য ডেমোগ্রাফিক তথ্য) অনলাইনে আপডেট করতে পারবেন। এর জন্য আর কোনো প্রতিষ্ঠান-কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহজ, দ্রুত — এবং কাগজপত্র ও ফর্ম-ভর্তি আর ঝামেলা নয়।
যদি আপনার মোবাইল নম্বর Aadhaar-র সঙ্গে আগে থেকেই রেজিস্টারড থাকে, অনলাইনে কাজ আরও সহজ।
---
নতুন কার্ড ডিজাইন ও নিরাপত্তা বাড়ানো
শুধুই তথ্য আপডেট নয় — Aadhaar-র ফিজিক্যাল কার্ডের ডিজাইনেও বড় পরিবর্তন আসছে। আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে — কার্ডে আর নাম, ঠিকানা বা ১২ সংখ্যার নম্বর মুদ্রিত থাকবে না। বরং থাকবেঃ আপনার ছবি + একটি QR কোড। QR কোড স্ক্যান করলে আপনার আসল পরিচয় তথ্য দেখা যাবে।
এর সুবিধা
কার্ডের ফটোকপি বা স্ক্যান করা তথ্য দিয়ে কার্ড নকল বা সংশোধনের সুযোগ কমবে। কাল্পনিক বা ফেক কার্ড তৈরির সুযোগ অনেকটা বন্ধ হবে।
যখনই কার্ড ভেরিফাই করতে হবে — ব্যাংক-ব্যবহারে, সিম কার্ড নেওয়ার সময়, সরকারি পরিষেবা বা অন্যান্য অফিস-চেকে — QR কোড স্ক্যান করেই সঙ্গে-সঙ্গে আসল তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে প্রক্রিয়া হবে দ্রুত এবং নিরাপদ।
---
কে কত খরচে কি আপডেট করতে পারবে?
নিয়ম বদলেছে শুধু প্রক্রিয়া নয়, উপরে খরচ ও ফি-র বিষয়টাও স্পষ্ট হয়েছে।
শুধু নাম, ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে হলে ফি হবে ₹৭৫।
যদি বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হয় — যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের স্ক্যান বা ছবি — ফি হবে ₹১২৫।
বিশেষভাবে, ৫–৭ বছর বা ১৫–১৭ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক আপডেট বিনামূল্যে।
এই পরিবর্তন মূলত নিশ্চিত করেছে যে, আপডেট প্রক্রিয়া সহজ হলেও রেকর্ডের গুরুত্ব ও নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
---
কেন এই বদল? — নতুনত্বের পেছনের কারণ
পুরনো নিয়ম ছিল ধীর, সময়সাপেক্ষ এবং কাগজপত্রভরা — ফলে অনেকেই নানা ভুল তথ্য নিয়ে রইতেন। নতুন অনলাইন আপডেটের ফলে তথ্য সঠিক রাখতে সুবিধে হবে।
কার্ডে নাম, ঠিকানা মুদ্রিত থাকলে কার্ডের ফটোকপি বা স্ক্যান করে জাল কপি তৈরি করা সম্ভব ছিল। নতুন QR-ভিত্তিক ডিজাইন এই ঝুঁকি কমাবে।
সরকারি পরিষেবা, ব্যাংকিং বা ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত কাজগুলো হবে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরাপদ।
---
আপনি কী করবেন — যদি আপনার আধার আপডেট করতে চান
1. অনলাইনে যেতে হবে — myAadhaar ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল পোর্টালে।
2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে — যেমন ঠিকানার প্রমাণ বা পরিচয়পত্র (যদি ঠিকানা/নাম/জন্ম তারিখ ইত্যাদি পরিবর্তন হয়)।
3. যদি মোবাইল নম্বর Aadhaar-র সঙ্গে রেজিস্টার না থাকে, হয়তো আগে সেটি রেজিস্টার করতে হবে।
4. পরিবর্তন শেষ হলে — আপনি চাইলে নতুন কার্ডে রি-প্রিন্ট বা নতুন ডিজাইন প্রাপ্য কিনা চেক করতে পারেন।
---
আমার মতামত: পরিবর্তন — সময়োপযোগী ও দরকারি
আমার মতে, এই নতুন আপডেটগুলোর ফলে আধার সিস্টেম অনেকটাই আধুনিক, নিরাপদ ও নাগরিক-বান্ধব হলো। বিশেষ করে গ্রামে-শহর নির্বিশেষে — যেখানে ব্যস্ততা, সময়, অফিস-ভাগ্য সবই বাধা — অনলাইনে কাজ করার সুযোগ খুবই উপযোগী। QR-ভিত্তিক নতুন কার্ড ডিজাইন জাল কপি ও ভুল ব্যবহারের ঝুঁকি কমাবে।
এই পরিবর্তনগুলোর সঠিক ব্যবহার হলে — নাগরিকদের জন্য আধার হবে সত্যিকার অর্থে “সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ” পরিচয়পত্র।
--- Thanks All..
ViP Cyber Point
এই সম্পূর্ণ তথ্যটা ASISNET NEWS BANGLA AR ZENEWS গুলি থেকে নেওয়া হয়েছে।